বড়দিনে বন্ধ থাকছে ব‍্যান্ডেল চার্চ : হবে না মিড নাইট মাস

23rd December 2020 8:10 pm হুগলী
বড়দিনে বন্ধ থাকছে ব‍্যান্ডেল চার্চ : হবে না মিড নাইট মাস


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বড়দিনে বন্ধ থাকছে ব‍্যান্ডেল চার্চ। হবে না মিড নাইট মাস। বড়দিন উপলক্ষে ব‍্যান্ডেল চার্চ সেজে ওঠে আলোকমালায়। চার্চের সামনের মাঠে তৈরী হয় গোশালা। সেখানে প্রভু যিশুর জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। মোমবাতি জ্বেলে প্রার্থনা করার ব‍্যবস্থা থাকে।শীত পোষাকে সাজে বহুমানুষ বড়দিনে ভীড় করেন ব‍্যান্ডেল চার্চে । গঙ্গার পাড়ে চলে পিকনিক। চব্বিশে ডিসেম্বর রাত বারোটায় হয় মিড নাইট মাস বা মধ‍্যরাতের বিশেষ প্রার্থনা। এবার করোনা অতিমারীর কারনে সে সব বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের শুরু থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে ব‍্যান্ডেল গীর্জায়। কোলকাতার আর্চ বিশপ বড়দিনেও গীর্জা খোলার অনুমতি না দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে গীর্জা গেট। ব‍্যান্ডেল র্চাচের ফাদার ফ্রান্সিস বলেন- আর্চ বিশপ পঞ্চাশ জন ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন। র্চাচের লোকজনই প্রার্থনা কক্ষে প্রার্থনা করবেন। সেখানে সাধারনের প্রবেশ থাকবে না। বড়দিনে গীর্জা গেটে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রভু যীশুকে শ্রদ্ধা জানানোর ব‍্যবস্থা কবে হবে। গোশালা  ও আকারে ছোট করা হচ্ছে।প্রতি বছর মধ‍্যরাতে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দিতে আসেন বহু মানুষ। অতিমারীর কারনে ব‍্যান্ডেল র্চাচের প্রার্থনা হবে না শুনে মন খারাপ তাদের। বছরে একদিন প্রার্থনা কক্ষে বিশেষ প্রার্থনা করার সুযোগ পান অনেকে,  এবার তা হবে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।